নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা থেকে আরেকটু ভেতরে মেঘনাপাড়ের গ্রাম পাড়াতলী -
কবি শামসুর রহমানের পৈতৃক নিবাস। তবে জন্মেছিলেন ঢাকা শহরের ৪৬ নম্বর
মাহুতটুলির বাড়িতে। তারিখ ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর। দশ ভাইবোনের মধ্যে
জেষ্ঠ্য তিনি।
নলিনীকিশোর গুহের সম্পাদনায় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়, তারপর একে একে
তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় একশ'র কোঠা ছুই ছুই।
আদমজী পুরস্কার (১৯৬৩), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৭৭),
সাংবাদিকতায় জাপানের মিতসুবিশি পদক (১৯৯২), ভারতের আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৪)
ছাড়াও আরও অনেক পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। ভঅরতের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়
হোত সন্মানসূচক ডি.লিট উপাধি তিনি পেয়েছেন।
তার সাংবাদিকতার শুরু 'মর্নিং নিউজ' এর মাধ্যমে এবং শেষ হয় 'দৈনিক বাংলা' এর সম্পাদকের পদ থেকে ছুটি নেয়ার মাধ্যমে।
শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৩৫
মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী ঢাকাস্থ বনানী
কবরস্থানে, তাঁর মায়ের কবরে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
তার বইয়ের তালিকা:
কাব্যগ্রন্থ:
প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (১৯৬০), রৌদ্র করোটিতে (১৯৬৩), বিধ্বস্ত
নিলীমা (১৯৬৭), নিরালোকে দিব্যরথ (১৯৬৮), নিজ বাসভূমে (১৯৭০), বন্দী শিবির
থেকে (১৯৭২), দুঃসময়ে মুখোমুখি (১৯৭৩),
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাটা (১৯৭৪), আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি (১৯৭৪), এক ধরনের
অহংকার (১৯৭৫), আমি অনাহারী (১৯৭৬), শূন্যতায় তুমি শোকসভা (১৯৭৭),
বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে (১৯৭৭), প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে (১৯৭৮),
ইকারুসের আকাশ (১৯৮২), মাতাল ঋত্বিক (১৯৮২), উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে (১৯৮৩),
কবিতার সঙ্গে গেরস্থালি (১৯৮৩), নায়কের ছায়া (১৯৮৩), আমার কোন তাড়া নেই
(১৯৮৪), যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে (১৯৮৪),
অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই (১৯৮৫), হোমারের স্বপ্নময় হাত (১৯৮৫), শিরোনাম
মনে পড়ে না (১৯৮৫), ইচ্ছে হয় একটু দাঁড়াই (১৯৮৫), ধুলায় গড়ায়
শিরস্ত্রাণ (১৯৮৫), এক ফোঁটা কেমন অনল (১৯৮৬), টেবিলে আপেলগুলো হেসে উঠে
(১৯৮৬),
দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে (১৯৮৬), অবিরল জলভ্রমি (১৯৮৬), আমরা ক'জন সঙ্গী
(১৯৮৬), ঝর্ণা আমার আঙুলে (১৯৮৭), স্বপ্নেরা ডুকরে উঠে বারবার (১৯৮৭), খুব
বেশি ভালো থাকতে নেই (১৯৮৭),
মঞ্চের মাঝখানে (১৯৮৮), বুক তার বাংলাদেশের হৃদয় (১৯৮৮), হৃদয়ে আমার
পৃথিবীর আলো (১৯৮৯), সে এক পরবাসে (১৯৯০), গৃহযুদ্ধের আগে (১৯৯০), খন্ডিত
গৌরব (১৯৯২), ধ্বংসের কিনারে বসে (১৯৯২),
হরিণের হাড় (১৯৯৩), আকাশ আসবে নেমে (১৯৯৪), উজাড় বাগানে (১৯৯৫), এসো
কোকিল এসো স্বর্ণচাঁপা (১৯৯৫), মানব হৃদয়ে নৈবদ্য সাজাই (১৯৯৬), তুমিই
নিঃশ্বাস তুমিই হৃৎস্পন্দন (১৯৯৬), তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল
হয়েছি (১৯৯৭), হেমন্ত সন্ধ্যায় কিছুকাল (১৯৯৭),
ছায়াগণের সঙ্গে কিছুক্ষণ (১৯৯৭), মেঘলোকে মনোজ নিবাস (১৯৯৮), সৌন্দর্য
আমার ঘরে (১৯৯৮), রূপের প্রবালে দগ্ধ সন্ধ্যা রাতে (১৯৯৮), টুকরা কিছু
সংলাপের সাঁকো (১৯৯৮), স্বপ্নে ও দুঃস্বপ্নে বেচে আছি (১৯৯৯), নক্ষত্র
বাজাতে বাজাতে (২০০০), শুনি হৃদয়ের ধ্বনি (২০০০),
হৃদপদ্মে জ্যোৎস্না দোলে (২০০১), ভগ্নস্তূপে গোলাপের হাসি (২০০২), ভাঙাচোরা
চাঁদ মুখ কালো করে ধুকছে (২০০৩), গন্তব্য নাই বা থাকুক (২০০৪), কৃষ্ণপক্ষে
পূর্ণিমার দিকে (২০০৪), গোরস্থানে কোকিলের করুণ আহবান (২০০৫), অন্ধকার
থেকে আলোয় (২০০৬), না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন (২০০৬),
শিশু কিশোর
এলাটিং বেলাটিং (১৯৭৪), ধান ভানলে কুঁরো দেব (১৯৭৭), গোলাপ ফোটে খুকীর হাতে
(১৯৭৭), স্মৃতির শহর (১৯৭৯), রংধনুর সাঁকো (১৯৯৪), লাল ফুলকির ছড়া
(১৯৯৫), নয়নার জন্য (১৯৯৭), আমের কুঁড়ি জামের কুঁড়ি (২০০৪), নয়নার জন্য
গোলাপ (২০০৫),
উপন্যাস
অক্টোপাশ (১৯৮৩), অদ্ভুত আঁধার এক (১৯৮৫), নিয়ত মন্তাজ (১৯৮৫), এলো সে অবেলায় (১৯৯৪)
আত্মস্মৃতি
স্মৃতির শহর (১৯৭৯), কালের ধুলোয় লেখা (২০০৪)
অনুবাদ কবিতা
ফ্রস্টের কবিতা (১৯৬৬), রবার্ট ফ্রস্টের নির্বাচিত কবিতা (১৯৬৮), খাজা ফরিদের কবিতা (১৯৬৮)
অনুবাদ নাটক
হৃদয়ের ঋতু (মূল: টেনেসি উইলিয়মস), মার্কোমিলিয়ান্স্ (মূল: ইউজিন ও'নীল; ১৯৬৭), হ্যামলেট (মূল: উইলিয়ম শেক্সপিয়র; ১৯৯৫)
প্রবন্ধ
আমৃত্যু তাঁর জীবনানন্দ (১৯৮৬), শামসুর রাহমানের প্রবন্ধ (২০০১), কবিতা এক ধরনের আশ্রয় (২০০২)
নিবন্ধ
কবে শেষ হবে কৃষ্ণপক্ষ (২০০৬)
কলাম
একান্ত ভাবনা (২০০১)
গল্প
শামসুর রাহমানের গল্প (২০০২)
DownloadGorostane kokiler karun ahbanগোরস্তানে কোকিলের করুন আহ্বান১.২৪ এমবি৯৯ পৃষ্ঠা